জলপাইগুড়ি: চা বাগান ঘেঁষা এলাকায় এক তরুণীর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই তরুণী কীটনাশক পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় প্রতিবেশী এক বিবাহিত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে শৌচকর্ম সারতে বাড়ির পাশের চা বাগানে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। অভিযোগ, সেই সময় অভিযুক্ত যুবক বলপূর্বক তাঁকে ধর্ষণ করে। অপমান ও আতঙ্কে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তরুণী বাড়ি ফিরে কীটনাশক পান করেন। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে ধরে গণপিটুনি দেয় বলে অভিযোগ। পরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। গুরুতর জখম অবস্থায় অভিযুক্ত যুবকও চিকিৎসাধীন। তাঁর উপর নজরদারির জন্য হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে নির্যাতিতার মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়ের ভবিষ্যৎ ধ্বংসকারী অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তরুণীর মা-বাবা।
এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে নারী সুরক্ষা। শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তরজা। চা বাগান এলাকায় কর্মরত মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সমাজকর্মীরা।