নয়াদিল্লি: লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতৃত্বে এল বড়সড় পরিবর্তন। দীর্ঘদিন ধরে দলনেতার দায়িত্বে থাকা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে এবার সেই পদে বসানো হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোমবার বিকেলে দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিজে থেকেই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেকের নাম প্রস্তাব করেন, যা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের লোকসভার সমস্ত সাংসদ, রাজ্যসভার প্রতিনিধিরাও।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। দলের সাংগঠনিক রূপরেখা তৈরিতে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবার সংসদীয় রাজনীতিতে তাঁর সরাসরি নেতৃত্বে দল যে আরও আক্রমণাত্মক কৌশল নেবে, তা স্পষ্ট। বিশেষ করে বাংলা ভাষা, অনুপ্রবেশ, কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিতর্কে অভিষেকের বক্তব্য এখন থেকে দলের অবস্থানকে আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এই রদবদলের ফলে লোকসভায় তৃণমূলের সহ-নেতা হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। চিফ হুইপ পদে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকলেও, সূত্রের খবর অনুযায়ী তিনি ইতিমধ্যেই ইস্তফা দিয়েছেন। তবে দলীয়ভাবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা এখনও ঘোষণা হয়নি।
২০২৬-এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক মহল কৌশলগত বলেই মনে করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে দল তরুণ নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখছে, সেই বার্তা স্পষ্ট। লোকসভায় তাঁর উপস্থিতি এবং বক্তব্য দলের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।