“আজও মহাকাশ থেকে ভারতকে সারা পৃথিবীর মধ্যে সেরা দেখতে।” “আজকের ভারতকে মহাকাশ থেকে দেখা যায়—মহৎ, নির্ভীক, আত্মবিশ্বাসী এবং গর্বে পরিপূর্ণ।” শুভাংশু বলেন— “এই যাত্রা শেষ হলেও, ভারতের মানব মহাকাশ অভিযানের পথ অনেক দীর্ঘ।”
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (ISS) থেকে পৃথিবীতে ফেরার আগে, ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা তাঁর বিদায় বক্তৃতায় আবেগের বহিঃপ্রকাশ। Axiom-4 মিশনের অংশ হিসেবে ১৮ দিন মহাকাশে কাটিয়ে ফিরছেন শুভাংশুরা।
রবিবার সন্ধ্যায় স্পেশ স্টেশনের Destiny ল্যাব থেকে লাইভ ভিডিও বার্তায় তিনি বললেন, “আজও মহাকাশ থেকে ভারতকে সারা পৃথিবীর মধ্যে সেরা দেখতে।”
রাকেশ শর্মার ঐতিহাসিক উক্তির পুনরাবৃত্তি ১৯৮৪ সালে মহাকাশ থেকে রাকেশ শর্মা বলেছিলেন, “সারে জাহাঁ সে আচ্ছা।” সেই ঐতিহাসিক উক্তিকে নতুন প্রেক্ষাপটে তুলে ধরলেন শুভাংশু। তিনি বলেন, “আজকের ভারতকে মহাকাশ থেকে দেখা যায়—মহৎ, নির্ভীক, আত্মবিশ্বাসী এবং গর্বে পরিপূর্ণ।”
বিজ্ঞান ও আবেগের মেলবন্ধন শুক্লা ISS-এ থাকাকালীন উচ্চতাপ সহনশীল ধাতুর উপর গবেষণা করেছেন, যা ভবিষ্যতের উৎক্ষেপণযানে ব্যবহৃত হতে পারে। তিনি বলেন, “আমরা অনেক বৈজ্ঞানিক কাজ করেছি, কিন্তু পৃথিবীর দিকে তাকালে এক ম্যাজিক্যাল অনুভূতি হতো।”
বিদায় অনুষ্ঠানে দেশীয় খাবারের ছোঁয়া বিদায় অনুষ্ঠানে শুভাংশু পরিবেশন করেন আমরাস ও গাজরের হালুয়া, আর তাঁর পোলিশ সহকর্মী আনেন পিয়েরোগি। মহাকাশের ছোট্ট ল্যাব যেন এক আবেগঘন পারিবারিক রান্নাঘরে পরিণত হয়।
ফেরার প্রস্তুতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ১৪ জুলাই বিকেল ৪:৩০ IST-এ ISS থেকে আনডকিং শুরু হবে, আর ১৫ জুলাই প্রশান্ত মহাসাগরে স্প্ল্যাশডাউন হবে। ফেরার পর শুভাংশু থাকবেন ISRO-এর তত্ত্বাবধানে রিহ্যাবিলিটেশনে। ভবিষ্যতে তিনি গগনযান প্রকল্পে উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
শেষ বার্তা “এই যাত্রা শেষ হলেও, ভারতের মানব মহাকাশ অভিযানের পথ অনেক দীর্ঘ। কিন্তু আমি নিশ্চিত, যদি আমরা স্থির সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে তারা-ও আমাদের নাগালে আসবে।”