ভিন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম করায় মেয়েকে গুলি! গুরুগ্রাম কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি

প্রতিষ্ঠিত মেয়ের কামাই খায় বাবা! এই নিয়ে নাকি কথা প্রতিবেশীদের শুনতে হত। রাগের মাথায় রান্না করার সময়ই পেছন থেকে পরপর ৪বার গুলি চালিয়ে দিলেন বাবা। মারাত্মক কাণ্ড গুরুগ্রামে।

ঘটনার পরই সামনে আসছে আরেকটি তথ্য। জানা যাচ্ছে মেয়ে রাধিকা যাদব, যিনি একজন নামি টেনিস প্লেয়ার, একটা কোচিং সেন্টারও চালাত রাধিকা। তার ওপরে অভিনয়ের শখও ছিল। আর সেই সুত্রেই নাকি একজন ভিন ধর্মী ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক, তাকে নাকি বিয়ে করতে চাইত রাধিকা।

এমনিতেই, মেয়ের টাকায় খাচ্ছেন, শুনতে হত, তার ওপরে মেয়ের মতের সঙ্গে বাবার মতের মিল না হওয়া; তাতেই নিজের মেয়েকে পরপর গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠল বাবা দিপকের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত দীপক যাদবকে গ্রেপ্তার করে ইতিমধ্যেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে স্থানীয় আদালত।

নিহত রাধিকা যাদব ছিলেন একজন রাজ্যস্তরের টেনিস খেলোয়াড়, দারুন প্রতিভাধর। গত বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর তিনতলা বাড়িতে রান্না করার সময় বাবা দিপক নাকি পেছন থেকে গুলি চালান।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দীপক যাদব তাঁর কন্যার পিঠে চারটি গুলি চালান। ঘটনার মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে মেয়ের প্রতি ‘পুরনো ধ্যানধারণা’ মেনে চলা বাবার বিবাদ। এক প্রতিবেশী জানান, “রাধিকা বাইরের জাতের একজনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল, কিন্তু তাঁর বাবা নিজের জাতেই বিয়ের পক্ষে ছিলেন।”

এদিকে, রাধিকার টেনিস একাডেমি বন্ধ করতে বলেছিলেন বাবা, সেই নিয়েও উভয়ের মধ্যে তীব্র বিতর্ক হয়।

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, ঘটনার আগেই রাধিকা একটি মিউজিক ভিডিওতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যদিও সেই ভিডিওর সাথে হত্যার কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।

সন্দেহভাজন হিসেবেই বাবা দীপক যাদবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে পুলিশি জেরায় হত্যার পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির উপযুক্ত ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। রাধিকার মরদেহ শুক্রবার গুরুগ্রামে দাহ করা হয়।

About The Author