‘আমি দুঃখিত!’ ভাষা বিতর্কে মুখ খুললেন প্রসেনজিত—দুঃখ প্রকাশ করে চাইলেন ক্ষমা!

কলকাতা: টলিউড অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের “বাংলায় বলার কী প্রয়োজন আছে?” মন্তব্য ঘিরে ছড়ায় বিতর্ক। সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভের মুখে পড়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। বলেন, ‘আপনাদের আঘাত লেগেছে, আমি দুঃখিত!’ ঘটনাকে ঘিরে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সংবেদনশীলতার গুরুত্ব ফের আলোচনায়।

টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সাক্ষাৎকারে ভাষা সংক্রান্ত একটি মন্তব্য করে তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। বাংলা ভাষায় প্রশ্ন শুনে তিনি বলেন— “বাংলায় বলার কী প্রয়োজন আছে?” । তাঁর কথায় ছিল অহংকার এবং অবজ্ঞার ছোঁয়া, বলে দাবি করেন অনেকেই।

সাক্ষাৎকারটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই বাংলাভাষী দর্শকরা প্রবল প্রতিক্রিয়া জানান। তাঁদের মতে, একজন বাঙালি অভিনেতার কাছ থেকে বাংলা ভাষাকে অপমান করা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দক্ষিণী শিল্পীরা যখন কলকাতায় এসে বাংলায় কথা বলেন, তখন প্রসেনজিত কেন এমন মন্তব্য করতে পারেন—এই প্রশ্ন উঠে এসেছে বারবার।

প্রসেনজিত পরে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেন, তাঁর বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং কাউকে ছোট বা অপমান করার উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, যদি তাঁর কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।

তবে দর্শকদের একটি বড় অংশ এখনো মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। তাঁদের মতে, এমন মন্তব্যে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি অশ্রদ্ধা ফুটে উঠেছে। অনেকে বলছেন, তিনি চাইলে একই বার্তা আরও সংবেদনশীলভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন।

এই বিতর্ক ফের মনে করিয়ে দেয়—বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি শুধুমাত্র একটি অঞ্চলভিত্তিক পরিচয় নয়, বরং আবেগ, আত্মপরিচয় এবং গর্বের প্রতীক। একজন জনপ্রিয় অভিনেতার মন্তব্য যখন ভাষার মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তখন সেই বিতর্কের প্রভাব শুধু বিনোদনের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং সমাজের গভীরে আলোড়ন তোলে।

About The Author