লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক প্রধানমন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: লাদাখে গত সোমবার রাতে ভারতীয় ও চিনা সেনার মধ্যে সংঘর্ষে শহীদ হয়েছেন এক ভারতীয় কর্নেল সহ ২০ জওয়ান। পাল্টা জবাবে মৃত্যু হয়েছে একাধিক চিনা সেনারও। এই বিষয় নিয়ে আগামী ১৯ জুন বিকেল ৫ টায় বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। একথা টুইট করে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।

লাদাখের ঠিক কী পরিস্থিতি, তা নিয়ে সরকারের বিবৃতি দাবি করেছে কংগ্রেস। বুধবারও প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়েছেন। রাহুলের প্রশ্ন, এভাবে আর কতদিন নীরব থাকবেন মোদী? একই সুরে প্রশ্ন তুলেছে শিব সেনাও। 

বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে এবারের সর্বদল বৈঠকে সব রাজনৈতিক দলের সভাপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সাধারণত এই ধরনের বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের বা সংসদের দলনেতাদের ডাকা হয়। উল্লেখ্য, এই ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে সাধারণত প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের সামনে গোটা পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করেন, তাঁদের সমর্থন প্রার্থনা করেন এবং আগামী দিনের রণকৌশল নিয়ে পরামর্শ চান। ১৯ জুনের বৈঠকেও তেমনটাই হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। চিন সরকারের অযাচিত আগ্রাসন রুখতে ভারত সরকার কোন পথে এগোতে চাইছে, আগামী দিনে ভারতের আর কী কী পদক্ষেপ করা উচিৎ? বিরোধী শিবিরের সঙ্গে সেসব নিয়েই আলোচনা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গত সোমবার রাতে সংঘর্ষ ঘটে দু দেশের সেনার মধ্যে। দুতরফের আধিকারিকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে সেনা। লাদাখে গত মাসে চিনা সেনা ভারতীয় এলাকায় অনুপ্রবেশ করে। তারপর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপক্ষের দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। তারই মধ্যে এই ঘটনা ঘটে যায়।

এর আগে লাদাখে ভারতীয় ও চিনা সেনার মধ্যে হাতাহাতি হয়। তবে সংঘর্ষ গোলাগুলি ছোঁড়া পর্যন্ত এগোয়নি। ১৯৬৭ সালে নাথুলা পাস সংঘর্ষের পর এই প্রথম ভারত-চিনের সশস্ত্র সংঘর্ষ হল। ২০১৭ সালে ৬ মাস ডোকলামে মোতায়েন ছিল ভারতীয় সেনা। ভুটান অভিযোগ করে, তাদের এলাকা ডোকলামে চিন রাস্তা তৈরি করছে। এরপর ভারতীয় সেনা অস্ত্রশস্ত্র ও দুটি বুলডোজার নিয়ে সিকিম টপকে ভুটানে ঢুকে পড়ে। ৬ মাস মুখোমুখি থাকার পর উত্তেজনা কমায় দু’পক্ষ।

About The Author