মার্কিন হামলার পরও ইজরায়েলে শক্তিশালী মিসাইল ছুড়ল ইরান

‘দমে যাওয়ার পাত্র’ নয় ইরান! মার্কিন হামলার পরও ইজরায়েলে শক্তিশালী মিসাইল ছুড়ল ইরান। খামেনির হুঁ-শি-য়া-রি-তে এবার মার্কিন মুলুকেও বাড়তি প্রস্তুতি সেরে রাখছে ট্রাম্প প্রশাসন।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আমেরিকার হামলার পরেই ইজরায়েলে জোরদারভাবে পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করল ইরান। তৃণ থেকে বের করল মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র ‘খাইবার শেকান’। ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘মেহের নিউজ’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) রবিবার (২২ জুন) প্রথমবারের মতো ইজরায়েলের দিকে অত্যাধুনিক ‘খাইবার-শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। হাইফা এবং তেল আভিভের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় ৩০টি ‘খাইবার শেকান’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

ইরানের অস্ত্রভান্ডারে যে সব ব্যালিস্টিক মিসাইল বা ক্ষেপণাস্ত্র মজুত রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ‘খাইবার শেকান’। প্রায় সাড় পাঁচশো কেজি ওজনের ক্ষেপণাস্ত্র ১,৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ছড়িয়ে পড়ে অসংখ্য ছোট-ছোট স্পিন্টার। তা বিস্তীর্ণ এলাকাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে।

এদিন ভোরে আচমকাই তিন পরমাণু ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় মার্কিন সেনা। ওই হামলার পরই ইজরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ঝাঁকে-ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে শুরু করেছে ইরান। ইজরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং আয়রন ডোম ওই ক্ষেপণাস্ত্র রুখতে ব্যর্থ হয়েছে। সাইরেন না বাজায় অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেননি। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গুঁড়িয়ে গিয়েছে তেল আভিভের একাংশ। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে একাধিক এলাকা। ইরানের হামলা থেকে বাঁচতে অনেকেই বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। ইজরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইজরায়েল’ জানিয়েছে, ‘কারমেল, হাইফা, তেল আভিভও ইজরায়েলের উত্তরাঞ্চলের ১০টি স্থানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তাতে আহত হয়েছেন শতাধিক। বেশির ভাগ এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।’

About The Author