Meghalay Case: ভাইয়ের দোকানে কাজ করত প্রেমিক! ‘বিধবা হলে তাকে বিয়ে করবে’ বলেছিল সোনম?

ভাইয়ের দোকানে কাজ করত রাজ নামের ছেলেটি, সেই থেকেই আলাপ তারপর প্রেম, কিন্তু পরিবারের মতে বিয়ে হয় রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে। নতুন সংসার শুরু না করেই প্রেমিকের কাছে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা ঠিক করে নেয় সোনম। রাজকে জানায়, ‘আমি বিধবা হলে’ অর্থাৎ তার স্বামী মারা গেলে, প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতে বাধা নেই! বিয়ের পরই মধুচন্দ্রিমায় মেঘালয়ে গিয়ে নবদম্পতির উধাও হয়ে যাওয়া আর তারপর রঘুর রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে সোনমের প্রেমের সম্পর্ককেই দায়ী করল পুলিশ। ইতিমধ্যেই সোনম, প্রেমিক রাজ এবং আরও তিনজন ভাড়াটে খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বিয়ে হয় ১৯ মে, পরপরই হানিমুনে মেঘালয়ে চলে যান ইন্দোরের নবদম্পতি। সেখানে গিয়েই নিখোঁজ হয়ে যান তারা। গরু খোঁজার মতো খুঁজে শেষে রাজা রঘুবংশীর দেহ খুঁজে পায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। লাশের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে হাতের ট্যাটু দেখে দেহ সনাক্ত করে পরিবারের লোকজন। তবে নববধূর কোনও হদিস তখনও ছিল না। সকলেই ভেবেছিলেন হয়তো পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে কোনও অঘটন ঘটেছে তাদের সঙ্গে। সেই ঘটনায় বহু জলখোলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দিকে আঙ্গুল তোলা হয়। এমনকি বাংলাদেশের তত্ত্ব পর্যন্ত উঠে আসে। শেষমেষ মেঘালয় থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রাজার স্ত্রী সোনমকে।

জানা যায়, ওইদিন পাহাড়ের ওপর থেকে ছবি তুলতে বলে স্বামীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল সোনম। তারপরই প্রেমিক রাজ এবং অন্যান্যদের সঙ্গে মিলে স্বামীকে মেরে ফেলে দেওয়া হয়।

মেঘালয়ের পুলিশ বলছে, ভাড়াটিয়া খুনিদের সাহায্য নিয়ে নববিবাহিত স্বামীকে হত্যা করেছে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই দেশজুড়ে হুল্লোর।

ইনদরের রাজার মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে স্ত্রী-প্রেমিকের চক্রান্ত! প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতেই ভাড়াটিয়া খুনিদের ব্যবহার করে সদ্য বিবাহিত স্বামীকে পথ থেকে সরাতেই এমন কাণ্ড করেছে মহিলা। সেই ব্যাপারে নাকি নিজের মুখে স্বীকারও করেছে কথা। যদিও সোনামের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ তার পরিবার। তার বাবা বলছে, দুই পরিবারের সহমতিতেই তাদের বিয়ে হয়েছিল। তার মেয়ে খুন করতেই পারে না।

এদিকে ঘটনার সাপেক্ষে সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। সেখানে নাকি ভাড়াটিয়া খুনিদের আনাগোনা দেখা গিয়েছে। তাহলে কি প্রেমিকের কাছে ফিরে যেতেই পথের কাঁটা হিসেবে রাজাকে সরিয়েছে তার নব-বিবাহিত স্ত্রী সুনাম? ছি ছি পড়ে গিয়েছে, গোটা ভারতজুড়ে। যদিও মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ মানতে নারাজ ও নামের বাবা তিনি বলছেন আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে ইতিমধ্যেই মেঘালয় পুলিশ সোনামকে তাদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

About The Author