পালাবদলের আট মাস পর মোদি-ইউনূস মুখোমুখি, কি কথা হল?

এমন কোনও মন্তব্য করা উচিত নয় যা থেকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে, শুক্রবার থাইল্যান্ডে মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি, রাতের অন্ধকারে সীমান্ত লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিও তুলেছেন মোদি।

পাল্টা হাসিনাকে নিয়ে প্রসঙ্গ তুলেছেন ইউনুস, এই দাবি করছে বাংলাদেশ। বৈঠকের মাঝেই উঠে আসে হাসিনা প্রসঙ্গ। মোদিকে অনুযোগের সুরে ইউনূস জানান, আওয়ামী লিগ নেত্রী ভারতে বসেই বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে করা মোদির মন্তব্যের ব্যাপারে বিদেশ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে হিন্দু সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথাও এদিনের বৈঠকে তুলে ধরেছেন।’ থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে আজ দুই রাষ্ট্রনেতার সাক্ষাৎ হয়। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে আগ্রহী ভারত। আলাপচারিতায় এমনটাও জানিয়েছেন মোদি।

বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এদিনের বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে ভারতের সদিচ্ছার প্রতিও জোর দিয়েছেন।’

এদিনের বৈঠকে সীমান্তে নিরাপত্তার ব্যাপারটিতেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে কঠোর আইন প্রনয়নের কথাও বলেন মোদি। এদিনের বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

About The Author