টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। ঘরের মাঠে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ জিতে নিল ভারত। ফলে মুম্বইতে পঞ্চম তথা শেষ টি২০ ম্যাচ এখন শুধুই নিয়ম রক্ষার।
এদিন পুণেতে টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ভারতের। প্রথম চার ওভারের মধ্যেই পড়ে যায় ভারতের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সঞ্জু স্যামসন। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিলক ভার্মা।
টস ভাগ্য এ দিন আর সঙ্গ দেয়নি সূর্যকুমার যাদবের। শুরুতে খাদের কিনারায় থাকলেও ম্যাচ এবং সিরিজও নিশ্চিত করে নিল ভারত। টস হারের হ্য়াটট্রিক করেছিলেন ইংল্যান্ড ক্য়াপ্টেন জস বাটলার। অবশেষে টস জেতেন। গত তিন ম্যাচে সূর্যর মতোই রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নেন জস বাটলার।
যদিও পুনের পরিসংখ্যান বলছিল, এখানে প্রথমে ব্য়াট করা দলই এগিয়ে থাকে। ভারতের ব্য়াটিংয়ের শুরুটা খুবই হতাশার। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে তিন উইকেট হারায় ভারত। কোনও রান না দিয়ে ওভারে তিন উইকেট সাকিব মাহমুদের। রিঙ্কু সিং, অভিষেক শর্মার গুরুত্বপূর্ণ জুটি। এরপরই শিবম দুবে ও হার্দিক পান্ডিয়ার দাপট।
শেষ অবধি ইংল্যান্ডকে ১৮২ রানের টার্গেট দেয় টিম ইন্ডিয়া। রান তাড়ায় ইংল্য়ান্ডের শুরুটা বিধ্বংসী করেন বেন ডাকেট ও ফিল সল্ট। পাওয়ার প্লে-র শেষ ডেলিভারিতে জুটি ভাঙে। ওপেনিং জুটিতেই ওঠে ৬২ রান। একটা ব্রেক থ্রু পেতেই অবশ্য় নিয়মিত উইকেট নিতে থাকে ভারতের বোলিং আক্রমণ। ইংল্য়ান্ডকে অলআউট করাই টার্গেট ছিল।
যদিও শেষ দিকে ভারতের কিছুটা চাপ বাড়িয়েছিলেন আদিল রশিদ ও জেমি ওভার্টন। জেমি ফিরতেই ম্যাচ কার্যত ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। শেষ ওভারে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্য়ান্ডের। চতুর্থ ডেলিভারিতে মাহমুদকে ফিরিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করেন অর্শদীপ। ১৫ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতের।