‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে বিল পেশ করবে মোদী সরকার। তবে, সেই বিল পাশ করাতে মোদী সরকারকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে। কারণ, বিরোধী শিবির থেকে এই প্রস্তাব নিয়ে বেশ কিছু ওজর-আপত্তি আছে।
এমন প্রস্তাবের পেছনে যুক্তি হল, এই ব্যবস্থায় সময়, সরকারের অর্থ ও সম্পদ বাঁচবে। তবে, এক দেশ এক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করার বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে। প্রথমত, এটি কার্যকর করতে গেলে সাংবিধানিক সংশোধনের প্রয়োজন।
লোকসভা নির্বাচনে একই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হয় যে রাজ্যে, সেখানে সমস্যা না হলেও বাকি রাজ্যগুলির ভোট লোকসভা ভোটের বছরে হয় না। সেগুলিকে এক জায়গায় আনতে গেলে হয় কোনও কোনও রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ কমিয়ে অথবা বাড়িয়ে দিতে হবে। বিরোধী দলগুলি ভারতের ফেডারেল কাঠামোর উপর এই ব্যবস্থার প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই ব্যবস্থা চালুর পর যদি লোকসভা বা কোনও বিধানসভার মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই বিলুপ্তি ঘটে, তাহলে সমস্ত নির্বাচনগুলির মধ্যে সমন্বয় সাধনের ফের নতুন করে সব রাজ্যেই নির্বাচন করতে হবে। সমালোচকদের মতে এটা অবাস্তব।
এই প্রস্তাবের সমালোচকদের আরেকটি যুক্তি, যদি রাজ্যর এবং দেশের নির্বাচন একই সঙ্গে করা হয়, তাহলে জাতীয় উদ্বেগের বিষয়গুলির আড়ালে চলে যেতে পারে আঞ্চলিক সমস্যাগুলি। লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিত ভিন্ন ভিন্ন হয়। জাতীয় নির্বাচনে দেশের নিরাপত্তা, বিদেশ নীতি, আর্থিক নীতিগুলি বেশি গুরুত্ব পায়। অন্যদিকে, ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা থাকে। সেগুলি, প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে উঠে আসে। তারই ভিত্তিতে ভোট দেন মানুষ। সারা দেশে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন পরিতালনা করতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীরও ঘাটতি হতে পারে।