রাজ্যের ফুড সাব ইন্সপেক্টরের পরীক্ষাতেও দুর্নীতির অভিযোগ! যিনি পরীক্ষাই দেননি, নিয়োগের জন্য আবেদনই করেন নি; তার নাম উঠেছে সফলদের তালিকায়। কারী কারী টাকা ফেললেই পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি হচ্ছে বলে দাবি। এমন জালিয়াতির পেছনে যার কারসাজি, তিনিও নাকি টাকার বিনিময়ে প্রাইমারি স্কুলের চাকরি পেয়েছিলেন। তারপর থেকেই অন্যান্যদের টাকার বিনিময়ে চাকরি করিয়ে দিতেন।
ফুড সাব ইন্সপেক্টরের পরীক্ষা না দিয়েই সফলদের তালিকায় যে যুবকের নাম উঠেছে, তার দাবি তিনি নিজেও হতবাক। এর বিনিময়ে অভিযুক্ত যুবকের থেকে এখন ৭ লক্ষ টাকা দাবি করছেন। এবার সেই অভিযোগ নিয়েই প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় ছুটলেন মালদার মালতিপুরের বাসিন্দা আলম সিদ্দিকি।
তার অভিযোগ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত এক শিক্ষকের কারসাজিতে এই ধরনের জালিয়াতি চলছে। তিনি অনেককেই টাকার বিনিময়ে চাকরি করিয়ে দিয়েছেন, বলে দাবি। তাকেও দিতে চেয়েছিল, কিন্তু সে দুর্নীতিতে সামিল হয়নি বলে নাকি থানায় এসেছে অভিযোগ করতে।
অভিযোগকারীর দাবি, ওই ব্যক্তি ২০১৭ সালে মালদার একটি প্রাথমিক স্কুলে সহ-শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে তার সঙ্গে যুবকের পরিচয় হয়। যুবককে তিনিই নাকি বলেছেন, টাকা দিয়ে চাকরি হয়। তিনি এভাবেই শিক্ষকতার চাকরি করছেন এবং তাঁকে ফুড সাব ইন্সপেক্টরের চাকরি করিয়ে দেবেন। পরিবর্তে তাকে চাকরি হওয়ার পর সাত লক্ষ টাকা দিতে হবে। প্রমাণ স্বরূপ বেশ কিছু ব্যক্তির জয়নিং লেটারও দেখান।
অভিযুক্তের কারসাজিতেই নাকি পরে যুবকের নাম সফলদের তালিকায় চলে আসে। এরপরই বিষয়টি তে না করে দেয় আলম সিদ্দিকি। টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে বেশ ঝামেলাও হয় বলে দাবি। শুক্রবার সব ঘটনা জানিয়ে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যুবক।