ফুটবলারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মৃত্যু ঘিরে রহস্য

রাজগঞ্জ: মহালয়ার ভোরে এক উঠতি ফুটবলারের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় শোকের আবহ তৈরি হল রাজগঞ্জের মালিভিটায়। মৃতের নাম বাপি রায় (২৫)। সাহুডাঙ্গিতে যুবকের হবু শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

https://youtu.be/fMbVaIgrVao

পরিবার সূত্রে খবর, সাহুডাঙ্গির এক যুবতীর সঙ্গে বাপির পরিচয় ছিল। পাঁচ মাস আগে তাঁদের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। রেজিস্ট্রি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁদের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। অন্য কারও সঙ্গে ওই মেয়ের যোগাযোগ রয়েছে এমন সন্দেহে মনকষাকষি শুরু হয়। শনিবার এই নিয়ে কথা বলতে সাহুডাঙ্গিতে হবু শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওঠেন যুবক। পরিবারের দাবি, শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ বাপি ফোন করে তাঁদের জানায়, মেয়েটির সঙ্গে কথা হয়েছে; তাকে আর বিয়ে করা সম্ভব না। পরদিন সকাল হতে না হতেই মেয়ের বাড়ি থেকে খবর দেওয়া হয়, বাপির মৃত্যু হয়েছে। ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু বলা হলেও বাপির পরিবারের অভিযোগ, ছেলেকে খুন করা হয়েছে।

বাপির জামাইবাবু জানান, সকালে খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গিয়ে দেখা যায়, বাপির দেহ উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। বাপির মোবাইল ফোন, সিম ইত্যাদি ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া যায়। এদিকে, পোস্টমরটেম করিয়ে দেহ মালিভিটায় বাড়িতে আনা হলে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান বাপির পরিবার। ঘটনাচক্রে, বিকেলে মালিভিটার বাড়িতে দেহ আনার সময় সেখানে হাজির হন মেয়ের বাড়ির লোকেরাও। তাঁদের ঘিরে ধরেন বাপির পরিবার প্রতিবেশীরা। পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। ঘটনা জেনে হাজির হয় বেলাকোবা ফাঁড়ির পুলিশ। শেষ খবরে এখনও পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে মেয়ের পরিবার তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এই ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত অলেন রায় জানান, বাপি ভালো ছেলে ছিল। ছোট থেকেই ফুটবল খেলার সঙ্গে যুক্ত। আচমকা এমন ঘটনায় পাড়ার সকলেই অবাক। এখনও থানায় কোনও অভিযোগ করেনি পরিবার। শোকের আবহে পরিবারের পাশে রয়েছি।

About The Author