গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভে সামিল স্বয়ং প্রধান। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। ব্যাপার কি? জানা গেল, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের তরফ থেকে যে আন্দোলন চলছে, যেখানে শীর্ষ নেতারা দিল্লিতে গিয়ে ধরনা দিয়েছেন, তারই অঙ্গ হিসেবে এলাকার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে প্রতীকী আন্দোলন করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। ১০০ দিনের কাজের ব্যাপার জিপি অফিস থেকেই পরিচালিত হয়। তাই মঙ্গলবার রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়ি জিপি অফিসের সামনে প্রতীকী বিক্ষোভ বলে জানা গেল।
রাজগঞ্জের বিন্নাগুড়িতে দলীয় কর্মসূচীতে সামিল হয়েছেন স্বয়ং প্রধান তথা এলাকার আরেক তৃণমূল নেতা সমিজুউদ্দিন আহমেদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের যুব সভাপতি তুষার কান্তি দত্ত। তিনি বলেন, গরীব মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে। আবাস যোজনার টাকাও দিচ্ছে না। এর প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দিল্লিতে বিক্ষোভ ধরনা চলছে। তার অঙ্গ হিসেবে রাজগঞ্জও প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে তারা প্রতীকী বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
এই ব্যাপারে রাজগঞ্জ বিজেপির সভাপতি নিতাই মণ্ডল বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকী বিক্ষোভ নিজেদের শাসনে থাকা জিপি অফিসেই। মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের আর কোনও কাজ নেই। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্প লুটে খেয়েছে রাজ্যের শাসক নেতারা। এখন গরীব মানুষের কথা বলে নিজেদের জন্য কাটমানি আনতে দিল্লি গিয়েছে।