ফোন করে সাহায্য চাইল কুকুর, বন্ধ অফিস খুলে মুক্ত করলেন উপপ্রধান

পঞ্চায়েত অফিসে আটকে পড়েছিল একটি কুকুর। মুক্তি পেতেই অবোলা প্রাণীটি ল্যান্ডলাইনে ফোন করল উপপ্রধানকে। ফোনে কুকুরের কান্না শুনতে পেয়ে পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে তালা খুলে দেওয়া হয়। আর ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে কুকুরটি। একটি পথকুকুরের এমন কাণ্ড দেখে হতবাক গ্রামের লোকজন। এমন ঘটনাই ঘটেছে হুগলির গুপ্তিপাড়া-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের দপ্তরে।

জানা গিয়েছে, এলাকার বিদায়ী উপপ্রধান বন্ধ অফিস থেকে পঞ্চায়েতের ল্যান্ড লাইন নম্বর থেকে ফোন পান। সেই ফোন তুলে দু’তিনবার হ্যালো বলেও কোনও সারাশব্দ মেলেনি। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর একটি কুকুরের কান্নার শব্দ ভেসে আসে তাঁর কানে। বন্ধ অফিস ঘর থেকে আসা ফোনে কুকুরের আওয়াজ! বিষয়টি ঠাওর করতে নিজের হাতে অফিসের ঘর খুলতেই দেখেন একটু কুকুর বসে তাঁর অফিসে। তিনি ‘আয়, আয়’ ডাক দিতেই গা ঝাড়া দিয়ে সে এক ছুটে বেরিয়ে রাস্তায় চলে যায়। তার ‘মুক্তির আনন্দ’ দেখে উপপ্রধানের মুখে তখন একগাল হাসি।

তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বেশ কয়েকটি কুকুর থাকে। ওদের দেখভাল আমরাই করি। শনিবার তাদের একটি যে অফিসে ঢুকে রয়েছে, বুঝতে পারিনি।’ কিন্তু ফোনটা কে করল? উপপ্রধান বিশ্বাস করেন কুকুরই রিসিভার থেকে ফোনটা তুলেছিল। কারণ ওরা প্রায়শই দেখে যে তিনি ফোন তুলে কথা বলছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা যেমন কথা বলার পর ফোন রেখে দিই, অফিসে ঢুকে দেখলাম তেমনই ঠিক ভাবে রাখা আছে টেলিফোন। ওর টানাহ্যাঁচড়ায় পড়েও যায়নি।’ এই প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ আরও বলেন, তাঁর মোবাইলের সঙ্গে পঞ্চায়েতের ফোনটি হটলাইন করা আছে। কেউ হাত দিলেই মেসেজ চলে আসে। কুকুরটি কোনওভাবে ফোনটির হটলাইন ডায়াল করে বসে। নিজস্ব ভঙ্গিতে জানাতে চাইছিল, সে আটকে পড়েছে, সাহায্যের দরকার। পরে সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেছি। তবে অনেকেরই যেন বিশ্বাস হচ্ছে না এই ঘটনা।

About The Author