রাজগঞ্জ: পঞ্চায়েত ভোটে রাজনৈতিক হিংসার জেরে আতঙ্কে ঘরছাড়া শতাধিক মানুষ। রাজগঞ্জের সন্যাসীকাটায় বেশ কয়েকটি গ্রামে একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর এবং সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের লোকেদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, জনসমর্থন না পেয়ে নাটক করছে বামেরা।
রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলের জুম্মাগছ, কুয়ার বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ আতঙ্কে ঘর ছাড়া রয়েছেন বলে দাবি করল সিপিএম। ঘর ছাড়া গ্রামবাসীরা কংগ্রেস ও সিপিআইএমের সমর্থক বলে দাবি। হিংসায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হল এবং ভোটের পর বাম সমর্থকেরা কি অবস্থায় রয়েছেন, তা জানতে গ্রাম পরিদর্শনে এলেন দলের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সুনীল আচার্য। তিনি জানান, তৃনমূলের সন্ত্রাসের ফলে বাড়ি থাকতে পারছে না আর এরজন্য দায়ী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামবাসীরাও আতঙ্কের কথা জানালেন নিজ মুখে।
পিংকি বেগম,আলিয়া খাতুন,ফরিতা খাতুন,আলিয়ার রহমান রা ভোটের দিনের তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর বীভৎসতা বর্ণনা দেন। ফরিতা খাতুন জানান বাড়িতে কোন পুরুষ নেই আমি তিন বৌমাকে নিয়ে থাকি,রাতে ভয়ে থাকতে পারিনা। স্বামী ও আমার তিন ছেলে বাইরে আছে প্রাণ হারানোর ভয়ে ঘরে আসছে না। হরিবর রহমান বলেন পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে আমার ঘর ও টোটো ভাঙতে সাহায্য করছে তৃণমূলের লোকেরা। অন্যদিকে তৃণমূলের নেতা ও সন্ন্যাসী কাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আতিয়ার রহমান ঘটনাটি অস্বীকার করেন তিনি জানান রিরোধীরা নিজেরাই নিজেদের ঘরবাড়ি ভেঙে বাইরে আছে, আমরা কাউকেই বাইরে থাকতে বলি না। শান্তিতেই ভোট হয়েছে, তারা ঘরে ফিরে আসুক আমরাও চাই।

