আরও একবার চাঁদের মাটি ছোঁওয়ার চেষ্টা করবে ইসরো। উৎক্ষেপণের অপেক্ষায় চন্দ্রযান-৩ বহনকারী লঞ্চ ভেহিক্যাল। ইসরো জানিয়েছে, ১৪ জুলাই বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে উৎক্ষেপণ হবে ‘চন্দ্রযান ৩’। মাত্র ৬১৫ কোটি টাকা খরচ করে চাঁদে চন্দ্রযান অভিযান পাঠাতে চলেছে ভারতের ইসরো। যা কিনা একটি সিনেমা তৈরির খরচের থেকেও কম।
শুক্রবার দুপুরে অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেরে মহাকাশে রওনা হবে ভারতের চন্দ্রাভিযানের অঙ্গ ‘চন্দ্রযান ৩’। ইসরোর হেভিলিফ্ট লঞ্চ ভেহিক্যাল LVM-3 এই ‘চন্দ্রযান ৩’ বহন করবে। এলভিএম ৩ রকেটের সাহায্যে চন্দ্রযান ৩-কে মহাকাশে পাঠানো হবে। চাঁদের কক্ষপথের ১০০ কিমির মধ্যে চন্দ্রযানকে নিয়ে যাবে সেটি।
ভারত চাঁদের মাটি ছুয়েছিল ২০০৮ সালে চন্দ্রযান ১-এই। এরপর ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ লঞ্চ করা হয়েছিল। শেষ অভিযানে ল্যান্ডারটি চাঁদে সফট ল্যান্ড করতে পারেনি। তবে সেই অভিযানের লক্ষ্য পূরণ হয়েছিল অনেকটাই। এখন সবার নজর চন্দ্রযান ৩-এর লঞ্চের দিকে। আগেরবার সফ্ট ল্যান্ডিং ব্যর্থ হয়। তবে এবারে সেই ঘটনার কারণ অনুধাবন করে নতুন মিশন পাঠাচ্ছে ইসরোর বিজ্ঞানীরা। আপামর দেশবাসী এখন সেই মুহূর্তের অপেক্ষায়।
চন্দ্রযান ৩-এ একটি ল্যান্ডার মডিউল রয়েছে। এই মডিউলটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া এই মহাকাশযানে একটি প্রপালশন মডিউল এবং একটি রোভারও রয়েছে। ল্যান্ডারটি চাঁদের একটি স্থানে ‘সফট ল্যান্ড’ করবে। এরপর এই ল্যান্ডারটি থেকে রোভার ছেড়ে দেওয়া হবে চাঁদের মাটিতে। চাঁদের ভূমিকম্প, চন্দ্রপৃষ্ঠের কিছু বিশেষ জায়গায় থার্মোফিজিক্যাল পদার্থ অনুসন্ধান, প্লাজমা পরিবেশ সংক্রান্ত কিছু তথ্যের অনুসন্ধান করবে এবারের অভিযান।