রাজগঞ্জ: মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণা। তার আগে সোমবারই আবার ভোট নেওয়া হবে কয়েকটি বুথে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানাল, পুনর্নির্বাচন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই। জলপাইগুড়িতে ১৪টি বুথে পুনরায় নির্বাচন হবে। রাজগঞ্জে ৯টি কেন্দ্রে।
রাজগঞ্জের বুথগুলি হল, পানিকাউরি অঞ্চলের পয়াচাড়ি, সুখানী অঞ্চলের বলদাপুকুর, সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলের জুম্মাগজ এবং গিরণগছ, বিন্নাগুরি অঞ্চলের আকারিগছ (সেল্টারবাড়ি ১,২) এবং গধেয়াগছ, শিকারপুর অঞ্চলের ধোপেরহাট এবং ফুলবাড়ী-২ নম্বর অঞ্চলের চ্যাংড়াবান্ধা ভোট গ্রহণ কেন্দ্র। অর্থাৎ এই বুথগুলিতে সোমবার ফের ভোট গ্রহণ হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জলপাইগুড়ি পঞ্চায়েত নির্বাচন আধিকারিক এবং জেলাশাসকের যৌথ বিবৃতিতে মোট ১৪টি এমন বুথ চয়ন করে পুনরায় নির্বাচনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে রাজগঞ্জের ৯টি বুথ রয়েছে। সেই ১৪টিতেই পুনর্নির্বাচন হচ্ছে।
সোমবার জলপাইগুড়ির ১৪টি বুথের ৪০টি আসনে পুনরায় ভোট গ্রহন হবে। যার মধ্যে নাগরাকাটার ১ টি, মালবাজারে ১টি, জলপাইগুড়ি সদরে ২টি, রাজগঞ্জ ব্লকে ৯টি, মেটেলি ব্লকের ১টি বুথ রয়েছে। ৪০টি আসনের মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি, পঞ্চায়েত সমিতির ১৩টি এবং জেলা পরিষদের ১৩টি আসন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন বেশ কিছু বুথে সংঘর্ষ-উত্তেজনার ছবি সামনে উঠে এসেছে। ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল, ব্যালট লুঠ ইত্যাদি নানা অভিযোগে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বেশ কিছু ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল। সেই কারণে সোমবার অর্থাৎ ১০ জুলাই সেই জায়গাগুলিতে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পুনঃনির্বাচন এবং ভোটে হিংসার বিষয়ে রবিবার রাজগঞ্জে একটি সর্বদলীয় বৈঠক হয়। জানা যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ভোট কেন্দ্রে অশান্তির অভিযোগ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রিসাইডিং অফিসারের অভিমত জেনে ওই আটটি (৯টি কেন্দ্রে) জায়গায় পুনরায় ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার সর্বদলীয় বৈঠকে সব দলের প্রতিনিধিরাই হাজির ছিলেন।
রাজগঞ্জ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজগঞ্জের কিছু জায়গায় সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠে এসেছে। বেশ কিছু জায়গায় শাসকদলের কর্মী সমর্থকেরাই আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সামগ্রিকভাবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
এদিকে বিজেপি এবং বিরোধী দলগুলির দাবি, রাজগঞ্জে এমন সন্ত্রাস আগে কখনও হয়নি। বিজেপির ব্লক সভাপতি নিতাই মণ্ডল জানান, একাধিক জায়গায় তৃণমূলের সমর্থন নেই দেখে সন্ত্রাস এবং ভোট লুঠের চেষ্টা হয়েছে। সিপিএম-এর ব্লক সম্পাদক রতন কুমার রায় জানান, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে রাজগঞ্জে। এখানে অন্তত ২০টি কেন্দ্রে আবার পুনরায় ভোট করার দরকার ছিল।