শুরুটা হয়েছিল গত মঙ্গলবার। ট্র্যাফিক আইন না মানার অভিযোগে ১৭ বছরের এক তরুণকে লক্ষ করে গুলি চালায় ফ্রান্স পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তরুণের। তারপর থেকেই হিংসা এবং বিক্ষোভের আঁচে পুড়ছে ফ্রান্স। সরকারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্য-সহ একাধিক অভিযোগ সামনে এনে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন তরুণ প্রজন্ম। বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে বাজার, বাড়ি-গাড়ি, সরকারি ভবন।
রবিবার ফ্রান্সে হিংসার ঘটনা পঞ্চম দিনে পদার্পণ করল। আগের রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৩০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সরকারি সূত্রের খবর, ৫০০টির মত সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লুট করা হয়েছে বন্দুকের দোকানও। পুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রায় দু’হাজারের বেশি গাড়ি। এছাড়াও প্রায় চার হাজার জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হিংসার ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ৩০০ পুলিশ আধিকারিকও।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফ্রান্সের রাস্তায় ম্যাকরন সরকারের তরফে নতুন করে ৪৫ হাজার পুলিশ এবং আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। তার মধ্যে শুধুমাত্র প্যারিসেই পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় সাঁজোয়া গাড়িও নামানো হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। সরকারি সূত্রে খবর, ১৩১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্যারিসের পরিস্থিতি লক্ষ করে জার্মান সফরে যাওয়ার দিন পিছিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাকরন।