কলকাতা: সকালে সাড়ে ১১টার কিছু আগে ঢুকেছিলেন ইডির দপ্তরে। তারপর প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা। টানা জেরাপর্ব সেরে রাত পৌনে ১১টা নাগাদ ইডি দপ্তর থেকে বেরোলেন সায়নী ঘোষ। ইডি দপ্তর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বললেন, ‘আমাকে যদি একশোবার তলব করা হয়, আমি একশোবারই আসব। আজ ওঁরা কিছু নথি নিয়ে আসতে বলেছিলেন। আমি সে সব জমা দিয়েছি। আরও কিছু নথি চাওয়া হয়েছে। ইডির সঙ্গে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করেছেন।’
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার তাঁকে তলব করেছিল ইডি। সেই নোটিশে বলা হয়েছিল, শুক্রবার কলকাতায় ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে সকাল ১১টার মধ্যে হাজির হতে হবে সায়নীকে। সেই তলবে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সকাল ১১টা ২১ মিনিটে কলকাতায় ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী। সেখান থেকে বেরোলেন ১০ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ।
অবশ্য মঙ্গলবার থেকে কার্যত তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। শুক্রবার সকালে তাই তিনি হাজিরা দেবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তিনি হাজিরা এড়াতে পারেন বলে জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে শুক্রবার ইডির দপ্তরে পৌঁছে গেলেন সায়নী ঘোষ। শুক্রবার সকালের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে এসে সায়নী বলেন, ‘আমি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি ডেকেছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।’ বেরিয়েও সেই কথাই বললেন।