উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজগঞ্জ ব্লকে সম্ভাব্য সেরা হয়েছে হরিহর হাইস্কুলের ছাত্র দেবমাল্য মজুমদার। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৭৫। রাজগঞ্জের মনুয়াগছের বাসিন্দা শ্যামল মজুমদারের ছেলে দেবমাল্য। তাঁর বাবা পেশায় একজন পুরোহিত। পরিবার বলতে মা, বাবা এবং এক দিদি রয়েছেন। বাবার পৌরোহিত্যে দুই ছেলে মেয়ের পড়াশুনা চলছে।
দেবমাল্য জানায়, দিনে মাত্র ৪-৫ ঘণ্টা পড়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত ক্রিকেট খেলেছে দেবমাল্য। আগামীতে ডাব্লুউবিসিএস পড়ে প্রশাসনিক ভূমিকায় যেতে যায়। এবারের পরীক্ষায় এডুকেশন, পলিটিক্যাল সায়েন্স এবং ভূগোলে ৯৮ নম্বর করে পেয়েছে সে। তবে ইংরেজিতে ৮৬ নম্বর পেয়েছে সে। দেবমাল্যের আক্ষেপ সেখানেই। বাবা যা আয় করেন তাই দিয়েই ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা চলছে, জানালেন দেবমাল্যের মা। তবে ছেলের সাফল্যে খুবই খুশী পরিবার।
বুধবার সন্ধ্যায় দেবমাল্যের বাড়িতে স্কুলের শিক্ষকেরা হাজির হন এবং তাঁকে সম্মান জানান। ছিলেন হরিহর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মনজিত পাল। তিনি বলেন, বরাবরই পড়াশোনায় ভালো। আর্থিক পরিস্থিতির দিক থেকে দেখতে গেলে দেবমাল্য চমৎকার রেজাল্ট করেছে। আগামী দিনেও স্কুলের পক্ষ থেকে যথা সম্ভব সাহায্য করা হবে।
এবার উচ্চমাধ্যমিকেও রাজ্যের মেধা তালিকায় নাম তুলল ধুপগুড়ি। বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলের ছাত্র অঙ্কুর রায় ৪৯১ নম্বর পেয়ে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র অঙ্কুর প্রমোদনগর কলোনির বাসিন্দা। বাবা রবিকান্ত রায় ধূপগুড়ি পুরসভার কর্মী। অন্যদিকে, রাজ্যের মেধা তালিকায় দশম স্থানে উঠে এল জলপাইগুড়ি শহরের সুনীতি বালা গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী সুচেতনা। রায়কত পাড়ার বাসিন্দা সুচেতনার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছ’জন গৃহ শিক্ষিককের কাছে অনুশীলন করেছে বলে জানাল সে।