Belakoba: ৯৫%, ৯৪%! জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় ‘যমজ সাফল্য’ দুই ভাইয়ের

যমজ দুই ভাইয়ের যমজ সাফল্য! প্রতিভাও যমজ।

বয়সের ব্যবধানে মাত্র এক মিনিটের ছোট-বড়। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার রেজাল্টেও ওই এক শতাংশের পার্থক্য। একজন ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে, আরেকজন পেয়েছে ৯৪ শতাংশ। যমজ দুই ভাইয়ের যমজ সাফল্য নজর কেড়েছে বেলাকোবার। চমকের এখানেই শেষ নয়, দুই ভাইয়ের মধ্যেই রয়েছে গানের প্রতিভাও। 

জলপাইগুড়ি জেলার বেলাকোবা বাবুপাড়ার দুই যমজ ভাই তুষানজিৎ এবং সায়নজিৎ এবারে আইসিএসই-র দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় যথাক্রমে ৯৪% এবং ৯৫% নাম্বার পেয়ে তাক লাগিয়েছে। দুই ভাইয়ের কথায়, আগামীতে তাঁরা ইউপিএসসি-র জন্য প্রস্তুতি নেবে। তবে ঠিক কোন ভূমিকায় নিজেদের দেখতে চায়, সেব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তুষানজিৎ এবং সায়নজিতের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৪৬৮ এবং ৪৭৫। তাঁরা জলপাইগুড়ির হলি চাইল্ড স্কুল থেকে পড়াশুনা করছে।

দুই ভাই আরও জানায়, পড়াশুনার ব্যাপারে তাঁরা মন দিয়ে পড়েছে তবে কখনই খুব বেশি চাপ নেয়নি। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার জন্য মাস কয়েক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল। আইসিএসই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর রেজাল্ট আশানুরূপ হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। মা রুপালী দে গৃহবধূ। বাবা প্রসেনজিৎ দে একজন ব্যবসায়ী। দুই ছেলেকে ছোট থেকেই পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে গানের রেওয়াজের ব্যাপারে বরাবরই উৎসাহ দিয়েছেন। মাত্র ৫ বছর বয়সে দুই ভাই গানের রেওয়াজ শুরু করেছে। পাড়ায় বা ব্লকভিত্তিক কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁদের ডাক পড়ে। সামাজিক মাধ্যমেও দুই ভায়ের গান শুনে মুগ্ধ নেটপাড়া।

যমজ দুই ছেলের সাফল্য এবং প্রতিভা বলতে গিয়ে ‘গর্বিত’ বাবা প্রসেনজিৎ দে বলেন, ছোট থেকেই পড়াশুনায় আগ্রহ ছিলই। পরীক্ষার রেজাল্টেও খুশী। আগামীতে প্রশাসনিক ভূমিকায় যাক তাঁরও সেই ইচ্ছে রয়েছে। তবে গানটা চালিয়ে যাক। দুই ভাইয়ের গান নিয়ে শুরু থেকেই এলাকায় আলোচনা ছিল। এবারে পরীক্ষায় নজর কাড়া সাফল্য চমকে দিয়েছে সবাইকে। দুই ভাইয়ের দুর্দান্ত রেজাল্টে দারুন খুশী পরিবার এবং প্রতিবেশীরাও। বাড়িতে এসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়।


RNF-এ প্রকাশিত খবর সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ বা জিজ্ঞাসার জন্য ফোন করুন 8250955518 নম্বরে


About The Author