বিয়ের প্যান্ডেলও এখনও খোলা হয়নি। এরধ্যেই বর-কনে দুই পক্ষের ঝামেলায় পণ্ড হল বিয়ে। বাড়তি যৌতূকের দাবিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ। বরের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানায় মেয়ের বাড়ির লোকজন। রাজগঞ্জের ঘটনায় চাঞ্চল্য।
মেয়ের বৌভাত খেতে গিয়ে আক্রান্ত কনের পরিবার। অনুষ্ঠান চলাকালিন যৌতুক নিয়ে ঝামেলা। কনের বাবা, দিদি সহ ৬ জন আহত হয়ে ভর্তি হলেন হাসপাতালে। অগত্যা বিয়ের সম্পর্কই ভেঙ্গে দিলেন পরিবার। বরের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাতেই থানা ঘিরে ধরলেন কনের পাড়ার লোকজন। রাজগঞ্জের তেলিপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বাড়তি যৌতুকের দাবি না মেটানোয় খুনের চেষ্টার অভিযোগ বর ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগ পেয়ে বরের দুই আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রাজগঞ্জের তেলিপাড়ার বাসিন্দা নরেশ সাহার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল কুকুরজান অঞ্চলের চাউলহাটির বাসিন্দা রাকেশ মালাকারের সঙ্গে। রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী, বরপক্ষের দাবি মেনে যৌতুক হিসেবে এক লক্ষ টাকা এবং অন্য জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছিল। বুধবার বৌভাতের অনুষ্ঠানে গেলে ওই নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। মেয়ের বাবার দাবি, খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। দুই পক্ষের হাতাহাতিতে কোনে পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছেন। পরদিন বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। রাতে পাড়া প্রতিবেশী এবং আত্মীয়রা রাজগঞ্জ থানার সামনে জটলা করেন এবং বরের গ্রেপ্তারের দাবি জানাতে থাকেন। ছেলের বাড়ির দুই আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলেন শুভঙ্কর চক্রবর্তী এবং লিপিকা মালাকার।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত ‘বর’ রাকেশ মালাকারের বক্তব্য, মেয়ের পরিবারের তরফে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। এমনকি যৌতূক হিসেবে কোনও দাবি ছিল না। পাল্টা অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় মেয়ের বাড়ির লোকজন বর পক্ষের লোক এবং আত্মীয়দের সঙ্গে অভদ্র ব্যবহার করেছেন। এদিকে, পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জাহির করে রাকেশের বক্তব্য, পুলিশ তাঁদের অভিযোগ না নিয়ে মেয়ের পরিবারের কথায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিয়ের সম্পর্ক ভাঙ্গার প্রসঙ্গে রাকেশের আরও বক্তব্য, আইনত ডলি সাহা তার স্ত্রী। তিনি চান, ওই মেয়ের সঙ্গেই সংসার করতে।