এদের সবার মাথার দাম ছিল মোট ৩৮ লক্ষ টাকা। ধারাবাহিক অভিযানের পর ২২ মাওবাদী সদস্যের আত্মসমর্পণ! নীতি অনুযায়ী, সরকারের তরফে পুনর্বাসন, আর্থিক সহায়তা ও আইনি সুরক্ষা মিলবে আত্মসমর্পণকারীদের।
ছত্তীসগঢ়ের নারায়ণপুর জেলায় যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের ফলে সিপিআই (মাওবাদী)-র মাঢ় ডিভিশনাল কমিটির অন্তর্ভুক্ত কুতুল, নেলনার এবং ইন্দ্রাবতী এরিয়া কমিটির ২২ জন নেতা-কর্মী আত্মসমর্পণ করেছেন। রাজ্য পুলিশ, বিএসএফ এবং ইন্দো তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি)-এর কাছে তাঁরা অস্ত্র ছেড়ে মূল স্রোতে শামিল হন।
পুলিশ সুপার রবিনসন গুরিয়া জানান, আত্মসমর্পণকারীদের মাথার উপর ঘোষিত পুরস্কারের মোট মূল্য ছিল প্রায় ৩৮ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে অন্যতম মানকু কুঞ্জম, যিনি মাঢ় ডিভিশনাল কমিটির সদস্য, তাঁর মাথায় পুরস্কার ছিল ৮ লক্ষ টাকা। এছাড়া তিন এরিয়া কমিটি নেতা— হিদমে কুঞ্জম, পুন্না লাল ওরফে বোটি ও সানিরাম কোররামের মাথায় ৫ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ছিল।
পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি (পিএলজিএ)-র ১১ জন গেরিলার মাথার দাম ছিল এক লক্ষ টাকা করে এবং ৭ জনের ছিল ৫০ হাজার টাকা করে। সরকারি নীতিমালা অনুসারে তাঁদের পুনর্বাসন, চাকরি, আইনি সুরক্ষা ও অর্থ সহায়তা প্রদান করা হবে।
প্রসঙ্গত, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই সম্প্রতি ‘নকশাল আত্মসমর্পণ এবং আক্রান্তদের পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’ ঘোষণা করেছেন। এতে উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের জন্য এককালীন ৫ লক্ষ টাকা অনুদানসহ নানান সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যে ২০২৬ সালের মধ্যে মাওবাদী নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা রূপায়ণ করতে বদ্ধপরিকর তারা।