রাজগঞ্জ: বাইরে কাজে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান প্রথম স্বামী। ৭ বছর পর ফোন আলাপের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ। তারপর প্রেম। এক মেয়ে এবং বুড়ো বাবাকে নিয়ে কষ্টের সংসারে একটু স্বস্তি পেতে দুই সন্তানের বাবা আকাশ মজুমদারকে বিয়ে করলেন রাজগঞ্জের ঝুমারানি। তবে বিয়ের দিন দুই যেতে না যেতেই দ্বিতীয় স্বামীও নিখোঁজ হয়ে গেলেন।
জানা গিয়েছে, রাজগঞ্জের সারিয়াম এলাকার বাসিন্দা ঝুমারাণী সরকারের প্রথম পক্ষের স্বামী ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এদিকে নিঃসঙ্গ জীবনে ৭ বছর পর ফোন মারফত উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ হয়। জানা যাচ্ছে, তিনিও বিবাহিত। তার দুটি সন্তান রয়েছে। তবে দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক পরিবারে তরফে মেনে নেয়া হয়েছিল বলে দাবি। সেই মতো উত্তরপ্রদেশ থেকে ওই ব্যক্তি এবং তার পরিবারের লোকজন ঝুমা রানীকে বিয়ে করেন বোদাগঞ্জের ভ্রামরী দেবী মন্দিরে। ১৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় তাদের। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান পরিবার শুদ্ধ নতুন বর। এরপরই রাজগঞ্জ থানায় লিখিত জানিয়ে প্রশাসনিক সাহায্যের আবেদন রেখেছেন।
ঝুমা জানান, ফোন মারফত যোগাযোগ হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের আকাশ মজুমদার (৪৫)-এর সাথে। দুই তরফেই নতুন করে সংসার শুরু করবেন বলে আশা করেছিলেন রাজগঞ্জ তালমা এলাকার বাসিন্দা ঝুমারানি সরকার। পরিবারকে সাক্ষী করে বোদাগঞ্জ ভ্রামরী দেবীর মন্দিরে সাত পাকে আবদ্ধ হন দু’জনে। তবে দু’দিন যেতে না যেতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেপাত্তা নতুন স্বামী। তাঁর খোঁজে দিশেহারা ঝুমারানী।