বীরভূম: ‘দিদির দূত’ হয়ে এলাকা পরিদর্শন শেষে দলেরই এক কর্মীর বাড়িতে খেতে বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। সবার মত তাঁকেও শাল পাতায় মাংস ভাত দেওয়া হয়েছিল। এরপর সবার সঙ্গে দু-একটি ছবি তুলেই উঠে পড়লেন। সকলের সঙ্গে না খেয়ে ‘খেতে বসেছি এমন’ ছবি তুলে উঠে পড়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।
প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি তবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে খেতে পারবেন না? যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের নেত্রী গ্রামে বসে পান্তা খেতে পারেন তাহলে উনি কেন পারেন না? অবশ্য এই নিয়ে বিরোধীদের জল ঘোলা শুরু হতে না হতেই কারণ দেখিয়েছে তৃণমূলই। শতাব্দী রায় এই নিয়ে মুখ না খুললেও দল জানিয়েছে, শতাব্দী রায় সবার সঙ্গে বসে খাননি, উনি আলাদা করে ঘরে খাবার খেয়েছেন।
শুক্রবার বীরভূমে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে যান শতাব্দী। এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখেও পড়েন। দলীয় সূত্রে খবর, ওই কর্মসূচির পর বিষ্ণুপুর এলাকার তেঁতুলিয়া গ্রামে দলীয় এক কর্মীর বাড়ির উঠোনে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, এঁচোড়ের তরকারি, খাসির মাংস, মাছ। সেখানে শতাব্দীও আমন্ত্রিত ছিলেন। কর্মসূচির পর সেখানেই যান তৃণমূল সাংসদ। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, দলীয় কর্মীদের অনুরোধে খেতে বসেছিলেন শতাব্দী। সাংসদকেও শালপাতার থালায় সব পদই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিজের আসনে বসে দু-একটি ছবি তোলার পরেই না-খেয়ে তিনি উঠে পড়েন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষেরই ঘর নিয়ে সমস্যা। কয়েক জায়গায় রাস্তার কিছু কাজ বাকি আছে, আশা করি হয়ে যাবে। যদিও মাংস ভাত না খেয়ে উঠে পড়ার বিষয়ে কিছু বললেনি এখনও।