তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ভয়ানক ভূমিকম্পে নিহতদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ৫ হাজার ২০০। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ। এখনও ধ্বংসস্তূপের আড়ালে চাপা পড়ে রয়েছেন অনেকে। তুরস্কেই মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ জন।
ধংস্বস্তুপের নিচে গৃহপালিত প্রাণী থেকে শুরু করে নবজাতক শিশু আটকে রয়েছে বহু প্রাণ। একে একে তাদের উদ্ধার করতে দিন রাত লেগে রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভারত, আমেরিকা, মেক্সিকো, জাপান সহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী পৌঁছেছে সেখানে। পাঠানো হচ্ছে চিকিৎসার সরঞ্জাম।
সোমবার ভোররাতে প্রথমে ৭.৮ তীব্রতা এবং তারপর বেশ কয়েকবার বড় বড় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দুই দেশ। তাশের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়েছে অট্টালিকা। দুর্যোগ বারিয়েছে ঠান্ডা এবং বৃষ্টি। এর মধ্যে তুষারপাত ভয়ংকর দুর্যোগের সংকেত দিচ্ছে। পরপর ভূমিকম্পের ঘটনায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এখনো মাঝে মধ্যেই আশেপাশের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার খবর মিলছে।
ভূমিকম্পের এমন ভয়ানক রূপ চমকে দিয়েছে গোটা পৃথিবীকে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন আগামীতে এই ভূমিকম্পের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তুরস্ক এবং সিরিয়ার দুর্যোগে দুর্গতদের সাহায্য করতে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন দেশ-বিদেশের নেতারাও। সামাজিক মাধ্যমে এখন শুধুই দুই দেশের ধ্বংসস্তূপ এবং দুর্গতদের কান্নার ছবি-ভিডিও।