২৬ হাজার চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, চূড়ান্ত রায় ঘোষণা ১৬ জুলাই

যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হলে, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র অযোগ্যদেরই চাকরি বাতিল হওয়া উচিত। আপাতত ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম দিল কোর্ট। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় বড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের। এই ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা আপাতত মুচলেকায় সই করে চাকরি চালিয়ে যেতে পারবেন, পড়ে অযোগ্য হিসেবে প্রমানিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএসসি কোর্টকে জানিয়েছিল, যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব এবং অযোগ্যদের আলাদা করলে যোগ্যদের সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের কথায়, পুরো প্যানেল বাতিলের পদক্ষেপ একেবারে শেষ পদক্ষেপ হওয়া উচিত। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হলে, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র অযোগ্যদেরই চাকরি বাতিল হওয়া উচিত। আপাতত বেতন ফেরতের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে একইসঙ্গে এও জানিয়েছে, যাদের নিয়োগ বেআইনি ধরা পড়বে, তাদের বেতন ফেরত দিতে হবে। সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। আগামী ১৬ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

 

আপাতত বাতিল হচ্ছে না চাকরি, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ শুনে স্বস্তি পেলেন শিলিগুড়ির অনামিকা। ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা মুচলেকায় সই করে চাকরি চালিয়ে যাবেন, পড়ে অযোগ্য প্রমাণিত হলে হবে আইনি ব্যবস্থা। বেতনও আপাতত ফেরাতে হচ্ছে না। সকাল থেকে টিভিতে চোখ রেখেছিলেন শিলিগুড়ির অনামিকা রায়। দিন শেষে সুপ্রিম কোর্টের শেষ ১০মিনিটের রায়ে কার্যত চাকরি ফিরে পেলেন অনামিকা। সুপ্রিম রায়ে খুশি অনামিকা জানালেন, এই রায়ে দারুণ খুশি এবং স্বস্তি পেয়েছেন যোগ্য চাকুরিরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।