রাজগঞ্জ: গ্রামে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ না হওয়ায় সকলে মিলে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারপরও ‘পাকামি মেরে’ কয়েকজন গ্রামবাসী ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। গ্রামবাসীদের সিংহভাগের ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের এমন ‘মাতব্বরি’ মেনে নেওয়া গেল না। অতঃপর ‘মাতব্বর’দের নেমন্তন্ন করে খাওয়াবেন বলে পরিকল্পনা করলেন বাকিরা। ওই ‘গুটিকয়েক’ ব্যক্তিকে ডেকে তাদের গলায় ফুলের মালা দিয়ে বসিয়ে পাত পেরে খাওয়ানোর আশা ছিল গ্রামবাসীদের তরফে। আসল উদ্দেশ্য ছিল, সৌজন্যতার পেছনে গ্রামবাসীদের চরম ক্ষোভের শৈত্য প্রকাশ করা মাত্র। প্রথমটা এমনই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তবে এই বিশেষ সম্মান নিতে আদৌ কি কেউ আগ্রহ করে আসবে? অতঃপর গ্রামবাসীরা বৃদ্ধ বালক সকলে মিলে এক রকমের ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তের খুশি উদযাপন করলেন। আগামী দিনে তাদের আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে এই বিষয়ে সদর্থক বৈঠক করে সকলে মিলে খাওয়া দাওয়া সেরে যে যার মতো বাড়ি চলে গেলেন।
রাজগঞ্জ বিধানসভার 235 নম্বর বুথে দেমধাপাড়া প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রেললাইন পারাপারের কোন সুব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। রেলের তরফে কোনও ব্যবস্থা না করে উল্টে পারাপারের ক্ষেত্রে হাজার টাকা ফাইন অথবা হাজতবাসের শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছিল। এমন অদ্ভুত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোট শুরুর ক’দিন আগে থেকেই ধর্নায় বসে ছিলেন গ্রামবাসীরা। যদিও তাতে কোনও কাজ হয়নি। অতঃপর ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গোটা গ্রাম। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের জোরাজুরিতে গ্রামের কয়েকজন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। গ্রামবাসীদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদের এই কীর্তি কিছুতেই মেনে নেননি বাকিরা। ‘গুটিকয়েক ভোট প্রদানকারী’ ২৪ জনকে ডেকে তাদের গলায় মালা পরিয়ে পাত পেড়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করে ছিলেন গ্রামবাসীরা। তারা তো এলেন না, তাতে কি! নিজেরাই সেই খাবার জমিয়ে খেয়ে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তের খুশি উদযাপন করলেন।