মালদা: এদিন চাঁচল বিধানসভার প্রত্যেকটি অঞ্চলে বিজেপির ভার্চুয়াল সভা দেখার ব্যবস্থা করে বিজেপি। ভার্চুয়াল সভায় চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবানপুর জিপি এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে দাবী চাঁচল বিজেপির।
এদিন ভগবানপুর জিপি এলাকায় ১১ নং জেলাপরিষদের সংখ্যালঘূ যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি আব্দুল কাইয়ুমের হাত ধরে শতাধিক তৃণমূল সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে খবর। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা বলে দাবী বিজেপির। যোগদানকারী এক মহিলা বিউটি খাতুন বলেন, ‘লকডাউন আবহে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব আমাদের কোনোরকম সাহায্য করেননি। উজ্জলা যোজনার গ্যাস থেকে শুরু করে জনধন একাউন্টে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
আরেক দলত্যাগী তৃণমুল কর্মী মুক্তার হোসেন বলেন, ‘১০ বছর ধরে তৃণমূল করেছি, দুর্দিনে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব সহায়তা করেননি।’ তাই আজ বিজেপিতে যোগদান বলে দাবী করেছেন ওই যুবক।
এদিনের সভায় সামিল হয়েছিলেন মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সম্পাদক দীপঙ্কর রাম সহ চাঁচল ব্লক বিজেপি নেতৃত্ব। তিনি বলেন, ‘সামাজিক দুরত্ব বিধি মেনেই আজকের যোগদান পর্ব ও ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।’
বিজেপিতে যোগদান নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ভগবানপুর পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য তথা ওই এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাহাজান আলী। তিনি বলেন, ‘যারা দলে ছিলেন তারা সুবিধাভোগী। আর্থিক প্রলোভনে তারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে শতাধিক নয়। ডজন খানেক কর্মীকে তাড়া শতাধিক দাবী করছেন। ভগবানপুর এলাকায় হাজার হাজার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন এবং লকডাউন আবহে আমরা টানা দুমাস মানুষের ঘরে ঘরে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌছে দিয়েছি।’