অনলাইন গেম খেলে ভিন রাজ্যের যুবকের সঙ্গে আলাপ তারপর প্রেম। এরপর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে প্রেমিকের সঙ্গে বেপাত্তা যুবতী। পরিবারের তরফে থানায় জানাতেই বিহার থেকে যুবতীকে উদ্ধার করল পুলিশ। অপহরণের অভিযোগে প্রেমিক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজগঞ্জের পানিকৌরি অঞ্চলের ঘটনায় চাঞ্চল্য।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের অধীন রাজগঞ্জ থানার আই ও এসআই মোবারক হোসেন আজ সদর হাজিপুর, বৈশালী, বিহারে ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে নির্যাতিতা মহিলাকে উদ্ধার করে সেই সঙ্গে এফআইআর নামের অভিযুক্ত আসামিকেও গ্রেপ্তার করেন। রাজগঞ্জ থানার মামলা নং .154/23 dtd. 25.03.2023 U/S 363/365 IPC। pic.twitter.com/H2LpFYeztg
— Jalpaiguri Police (@JpgPolice) March 28, 2023
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন থেকেই অনলাইন গেমে ঝুঁকে পরে মেয়ে। যুবতী স্নাতক করে অনলাইনে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে টুকটাক কাজ করত। সেখানেই দু’জনের যোগাযোগ হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, যুবতীর বাড়িতে গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র রয়েছে। সেখান থেকেই অনলাইন মাধ্যমে যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। ফ্রি ফায়ার গেমের মাধ্যমে পরিচয়; তারপর সেখান থেকেই প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। যুবতীর পরিবার দু’জনের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় ওই যুবকের সঙ্গে বাড়ি ছাড়ে যুবতী। গত শনিবার পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। তদন্তে নেমে বিহারে একটি দল পাঠানো হয়। অভিযান চালিয়ে সদর হাজিপুর থানার পচিশকুরবা থেকে যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় যুবককে। ধৃতের নাম চন্দন কুমার (২৪)। তাঁর বাড়ি বিহারেই। বুধবার দুজনকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে আসা হয়।
যুবতীর মা পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক। তিনি জানিয়েছেন, কাউকে কিছু না বলে গত শুক্রবার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। ওই যুবকই হয়ত মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। ফিরে না আসায় থানায় যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও প্রেমের সম্পর্কের ব্যাপারে কিছু জানা নেই বলে দাবি তাঁর। এই ব্যাপারে রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার জানিয়েছেন, ‘অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। এরপর জানা যায় দু’জন বিহারের বৈশালী জেলার সদর হাজিপুর থানা এলাকায় রয়েছে। রাজগঞ্জ থানার এক আধিকারিক মোবারক হোসেন’কে দল নিয়ে সেখানে পাঠানো হয়। স্থানীয় থানার মদতে পচিশকুরবা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তের বাড়ি থেকে যুবতীকে উদ্ধার করা হয় এবং ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুজনকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হবে। যুবতীর স্টেটম্যান্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’