জলপাইগুড়ি: দুষ্কৃতী তাণ্ডবে উত্তপ্ত হল গজলডোবা। দোকানপাট ভাঙচুরের পাশাপাশি মহিলা ও পুলিশের ওপরেও হামলা চালানোর অভিযোগ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানালেন সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুষ্কৃতিরা মদ্যপঅবস্থায় এই তাণ্ডব চালিয়েছে। দোকানপাট ভাঙচুরের পাশাপাশি মহিলা ও পুলিশের ওপরেও হামলা চালানোর অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার মানুষ গজলডোবায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ২ ঘন্টা ধরে চলে অবরোধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, মদ্যপ যুবকেরা তৃণমূলের এসসি এসটি ওবিসি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাসের নাম উল্লেখ করে এই তাণ্ডব চালিয়েছে। এর পাশাপাশি মহিলাদের মারধর এবং কটুক্তিও করেছে বলে দাবি দোকানমালিকদের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল বিকেলে ৬ জন যুবকের একটি দল গজলডোবা ভোরের আলোতে এসে মদ্যপ অবস্থায় অসংলগ্ন ব্যবহার করে । ঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই যুবকেরা নিজেদের তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের লোক বলে হুমকি দেয়। এরপর এক ঘোড়াওয়ালা এবং এক মহিলা দোকানিকে মারধর করে । শুরু হয় উত্তেজনা। ঘটনার খবর পেয়ে মিলনপল্লি ফাঁড়ির পুলিশ পৌঁছায়। অভিযুক্তরা পুলিশকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ তাদের ২ জনকে আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে তারা প্রচুর লোক নিয়ে এসে গজলডোবায় তাণ্ডব চালিয়ে দোকানপাট ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে আসেন জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি দীপেন প্রামাণিক ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায় বলেন, ‘কয়েক গাড়ি লোক এসে তাণ্ডব চালিয়ে গেল।অথচ পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারল না। তাই পুলিশ ও প্রশাসন বলে কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না।তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের অনুগামীরা ওই তাণ্ডব চালিয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। আমি পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই গাড়ি সহ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করলে দলীয়ভাবে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।