রণজিৎ কুমার মন্ডল: ভারত-বাংলাদেশ সীমানার প্রায় ঘেঁষাঘেঁষি একটি ছোট্ট জনপদে অবস্থিত এক হাইস্কুলের অর্ধেক ন্যাড়া মাঠ আর সেই মাঠ সংলগ্ন এক বেসরকারি সংস্থা যা পরস্পরের সঙ্গে ভীষণভাবে সম্পর্কযুক্ত। স্কুলের নাম রাজগঞ্জ এমএন হাইস্কুল এবং বেসরকারি সংস্থাটি হল রাজগঞ্জ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। প্রয়াত উত্তম চক্রবর্তীর স্বপ্নের ফুটবল চর্চা অত্যন্ত সুচারুভাবে সেতু বন্ধন করেছে এই দুইয়ের মধ্যে।
এই সংস্থার ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে বেড়ে ওঠা একদা খুদে খেলোয়াড় মনোজ মহম্মদ ওরফে জনি যখন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সিনিয়র টিমের প্রথম একাদশে সাফল্যের সাথে খেলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার জায়গায় এসেছে ঠিক তখন ইন্ডিয়া সুপার লিগে খেলার জন্য গতবারের চ্যাম্পিয়ন টিম হায়দরাবাদ এফসির হাতছানি। চুক্তি পাকা হওয়ার সাথে সাথে অ্যাকাডেমি সহ এলাকায় খুশির প্লাবন। সংস্থার কর্মকর্তা ও সহ খেলোয়াড়দের উদ্যোগে এই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করার জন্য আজ জনির চেনা মাঠেই তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হল।
উল্লেখ্য, জনির পাশাপাশি এই অ্যাকাডেমির আর এক খেলোয়াড় সমিক মিত্র আসন্ন আইএসএল টুর্নামেন্টে চেন্নাই এফসি-র প্রতিনিধিত্ব করবে। আজ সমিক তথা রিভুর অনুপস্থিতিতে কেবল জনিকে স্মারক ফলক, উত্তরীয়, পুস্পস্তবক ইত্যাদি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে জনি ছাড়াও অ্যাকাডেমির অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় যেমন, বিজয় রায়, রাহুল রায়, ফিরোজ আনসারি, সূরজ রসাইলি, প্রদীপ রায়, যারা এই মুহূর্তে ভারতীয় সেনায় কর্মরত এবং এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ক্লাবের হয়ে খেলছে।
এদিনের অনুষ্ঠানে সংস্থার পক্ষে সম্পাদক হিসেবে আমি রণজিৎ মন্ডল ছাড়াও মাঠে ছিলেন সুবোধ গোস্বামী, অরবিন্দ শর্মা, মাধব সাহা, নূর ইসলাম প্রমুখ। সকলের অনুরোধে প্রধান কোচ শম্ভু সাহা ও প্রাক্তন কোচ বিশ্বজিৎ দে দলগত ছবিতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি শেখ ওমর ফারুক ও স্থানীয় ফুটবলপ্রেমী দীপঙ্কর রায়ও উপস্থিত ছিলেন। দীপঙ্কর বাবু এই একাডেমীর খেলোয়াড়দের মধ্যে কিছু ফুটবল বিতরণ করেন। পরিশেষে সংস্থার সম্পাদক রণজিৎ কুমার মন্ডল তাঁর বক্তব্যে জনি ও রিভুর আরও সাফল্য কামনা করা ছাড়াও উপস্থিত খেলোয়াড়দের তাদের পূর্বসূরিদের অনুসরণ করার পরামর্শ দেন এবং সংস্থার আর্থিক অনটনের কথাও উল্লেখ করেন এবং কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাঁদের স্বাগত জানাবেন।