আচমকাই পাড়ায় হাজির মুখ্যমন্ত্রী। ঢুকে পড়লেন একটি বাড়িতে। সেখানে এক বৃদ্ধার সঙ্গে বসে চা খেলেন, গল্পও করলেন। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পাড়া ঘুরে সবার সঙ্গে কথা বললেন।
রবিবার আলিপুরদুয়ার থেকে জলপাইগুড়ির বানারহাটে পৌঁছলেন মমতা। বিকেলে আচমকাই একটি পাড়ায় হাজির হলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে আপ্লুত স্থানীয়রা৷ রবিবার আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে হেলিকপ্টারে চেপে বানারহাটে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিকপ্টার থেকে নেমেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে পায়ে হাঁটতে শুরু করেন তিনি। এরপরই তিনি আদর্শপল্লির শীতলা মন্দিরে পুজো দেন। পুজো দিয়ে বেরিয়ে ওই এলাকার এক বাড়িতে ঢুকে পড়েন। বৃদ্ধাকে দেখে প্রণাম করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর শারীরিক খোঁজ খবর নিতে সোজা ঢুকে পড়েন ওই বৃদ্ধার কাঠের বাড়িতে। ভেতরে ঢুকেই ঠাকুরঘর, রান্নাঘর ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। বাড়ির বউমা মুখ্যমন্ত্রীকে চা বানিয়ে খাওয়ালেন। বানারহাটের আদর্শপল্লির ওই বৃদ্ধা প্রতিভা ভদ্র সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল, মুখ্যমন্ত্রীকে দেখব। সেই স্বপ্ন পূরণ হল। এটা আমার কাছে স্বপ্নেরও অতীত।’