ডেস্ক রিপোর্ট: মহালয়া মানেই বাঙালি বোঝে ভোর ঠিক ৪টেয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে আকাশবাণীর মহিষাসুরামর্দিনী অনুষ্ঠান। ১৯৩২ সাল থেকেই আকাশবাণীর সম্প্রচারে ভেসে ওঠে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কালজয়ী কন্ঠ। বাংলার কাছে নস্টালজিক প্রোগ্রাম। যা শুনে বাঙালির আবেগের পারদ চড়ে। মহালয়ায় বাঙালির এই আবেগ বুঝেই দূরদর্শনে প্রথমবারের জন্য মহালয়ায় মহিষাসুরমর্দিনীর নাট্যরূপ সম্প্রচারিত হয়। বর্তমানে একই রীতি মেনে একাধিক বাংলা টিভি চ্যানেলে এই দিনটিতে সম্প্রচারিত হয় মহালয়ার অনুষ্ঠান। প্রতিবারই শ্রোতা ও দর্শকেরা টিভির চ্যানেলগুলিতে ভোরভোর চোখ রাখেন। রেডিওয় মহিষাসুরমর্দিনী এখন স্থায়ী ও বিশেষ প্রভাতী অনুষ্ঠান। আধুনিক সময়ে স্পেশাল অ্যাফেক্টস্ ও ভিএফএক্সেও টলিপাড়ার অভিনেত্রীদের নিয়ে আগ্রহ রয়েছে দর্শকদের মধ্যে। টিভির দর্শকেরা, কোন চ্যানেলে কে হচ্ছে দূর্গা? এই নিয়ে কৌতুহলের শেষ থাকে না। সপ্তাহ দুই আগে থেকেই প্রোমোতে চোখ রাখেন।
https://www.facebook.com/RNFNewsOfficial/videos/326144488596696/
এবছর জি বাংলায় মহালয়ার ভোরে সম্প্রচারিত হবে ‘দুর্গা সপ্তসতী’। মহিষাসুরমর্দিনী রূপে দেখা যাবে শ্বেতা ভট্টাচার্যকে। দুর্গার চরিত্রে দেখা যাবে দিতিপ্রিয়াকে। মহাদেবের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিষেক বসু। মহিষাসুর হবেন ধ্রুব সরকার। দেবী যোগমায়ার চরিত্রে থাকবেন দেবাদৃতা বসু। স্টার জলসার মহিষাসুরমর্দিনীর অনুষ্ঠানে দুর্গার ভূমিকায় অভিনয় করবেন যাদবপুরের সংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। বাংলা টেলি জগতের অতি পরিচিত মুখ, অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার সীতার চরিত্রে থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। রামের চরিত্রে দেখা যাবে জিতু কমলকে। রাবনের ভূমিকায় অভিনয় করবেন রাজেশ শর্মা। অন্যদিকে কালার্স বাংলা করোনা পরিস্থিতির জন্য নতুন শ্যুট করে নি। গত বছরের মহালয়ারই পুনর্সম্প্রচারিত হবে স্থির করেছে তারা। এখানে মা দুর্গার ভূমিকায় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী ও কন্যারূপী দুর্গা হিসেবে পায়েল দে কে দেখা গিয়েছিল। নস্টালজিক ডিডি বাংলায় দর্শকদের অনুরোধ মেনে ১৯৯৭ সালের অসুরদলনী দেবী দূর্গা সম্প্রচারিত হবে। যেখানে দূর্গারূপে অভিনয় করবেন সংযুক্তা ব্যানার্জী। যুগযুগ ধরে ডিডি বাংলায় নতুন করে মহালয়ার অনুষ্ঠান শ্যুট করা না হলেও পুরানো সংসকরণগুলিকেই সম্প্রচার করা হচ্ছে। দর্শকেরাও তা সমাদরে গ্রহণও করছে। নস্টালজিয়া বলে কথা।