চাঁদের মাটিতে ইতিহাস! ইসরোর সহযোগী ছিল জলপাইগুড়ির কৌশিকও

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে ইতিহাস গড়ল ভারত। সেই ইতিহাসের সঙ্গী হয়ে রইল জলপাইগুড়ির ছেলে কৌশিক নাগ। খবর প্রকাশ্যে আসতেই গর্ব প্রকাশ করেছেন জেলার মানুষ।

বুধবার চন্দ্রযান-৩-র ল্যান্ডার চাঁদের মাটিতে অবতরণের সময় বিজ্ঞানীদের উচ্ছাসের মধ্যে লাল জামায় কৌশিককে দেখেই চিনতে পারেন তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়রা। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই একের পর এক শুভেচ্ছাবার্তার কমেন্ট আসতে শুরু করে। বুধবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ি পুলিশের তরফ থেকে কোতোয়ালি থানার আইসি কৌশিকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মায়ের হাতে সম্বর্ধনা স্বরুপ পুষ্পস্তবক তুলে দিয়েছেন।

ইসরোর চন্দ্রঅভিযানের সাফল্যে কৌশিক একজন সক্রিয় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। জানা গিয়েছে, কৌশিক জলপাইগুড়ি হলি চাইল্ড স্কুল এবং জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং হোলিচাইল্ড স্কুলের প্রাক্তনীদের অ্যাসোসিয়েশন অভিনন্দন জানিয়েছেন কৌশিককে।

জলপাইগুড়ি শহরের তরুনদল এলাকার বাসিন্দা কৌশিক নাগ ২০১১ সালে আইএসসি পাশ করে জয়েন্ট এনট্রান্সের মাধ্যমে জলপাইগুড়ি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৫ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে থেকে পাস আউট হন কৌশিক। ২০১৮ সালে কৌশিক যোগ দেন ইসরোতে। চন্দ্রযান-৩ তৈরির শুরুর দিন থেকেই ইসরোর টিমে কাজ করে চলেছেন কৌশিক। এদিন চন্দ্রযান-৩-র চাঁদের মাটিতে অবতরণের সময় বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্ছাসের মাঝে কৌশিককে দেখা যায়। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই শুভেচ্ছার বন্যা বইতে শুরু করে। এই খবরে আপ্লুত কৌশিকের পরিবার।

About The Author