বাবার পর এবার মায়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার; ঘরের ভেতরেই বেশ কদিন ফেলে রেখেছিলেন মেয়ে। স্থানীয়দের নাকে পচা গন্ধ ঠেকতে সামনে আসে ঘটনা। অবাক করা ব্যাপার হল, বছর খানেক আগে বাবার মরদেহ ফেলে রেখেছিলেন ওই কন্যা। স্থানীয়দের দাবি, মেয়ে মানসিক বিকারগ্রস্ত। তবে পরপর এমন ঘটনায় রহস্যও জোড়াল হয়ে উঠেছে। জলপাইগুড়ি শহরের কলেজপাড়া থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর কাণ্ড প্রকাশ্যে এল।
মৃত মহিলার নাম অঞ্জলি কর্মকার। তাঁর মেয়ে অনিন্দিতা কর্মকার মায়ের মৃতদেহ কয়েকদিন ধরেই ঘরের মধ্যে ফেলে রেখেছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ঠিক একবছর আগে গত ১৯ আগস্ট বাবা অজিত কর্মকারের মৃতদেহ তিন-চার দিন ধরে ঘরে মধ্যেই ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছিল এই কন্যার বিরুদ্ধে। তখন তাঁর মা অঞ্জলি কর্মকার বেঁঁচেছিলেন। অজিত কর্মকার সরকারি দপ্তরের গাড়ি চালক ছিলেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তাঁর মৃত্যুর পর মৃতদেহ তিনদিন ধরে ঘরে মধ্যে ফেলে রাখায় স্ত্রী ও কন্যার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এবার মায়ের মৃতদেহ একইভাবে উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় গোটা শহর জুড়ে হইচই পড়ে গেছে।
দুপুরে অঞ্জলি কর্মকারের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় মানুষ। মৃতার কন্যা অনিন্দিতা দীর্ঘদিন ধরেই মানসিকভাবে অসুস্থ রয়েছেন বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।