বেলাকোবা: অভাব নিত্যসঙ্গী। বাড়ি ঘরে দৈন্যের ছাপ স্পষ্ট। বাবা এক বেসরকারি সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করে মাসে হাজার দশেক রোজগার করেন। তাই দিয়েই সংসার চলে কোনওরকমে। মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্টের পর বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু টাকার অভাবে সেই সাধ পূরণ হয়নি। সেই মেয়ে এবারে উচ্চমাধ্যমিকে ৫০০-র মধ্যে ৪৬৭ নম্বর পেয়ে চমকে দিয়েছে। বেলাকোবা মুদিপাড়ার নগেন্দ্রনাথ হাইস্কুলের ছাত্রী মান্তু কুঙ্গর ৯৩.৪% নম্বর পেয়ে স্কুলের মধ্যেও সেরা হয়েছে। মান্তুর দিদিও পড়াশুনায় ভালো। দুই মেয়ের পড়াশুনা চালাতে সাহায্যের আবেদন পরিবারের।
জলপাইগুড়ির বেলাকোবা অঞ্চলের খালপাড়াতে বাড়ি মান্তুর। বাবা গোবিন্দ কুঙর একটি বেসরকারি সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করেন। মা গৃহবধু। বাবা মায়ের এক মাত্র আক্ষেপ মাধ্যমিকে ভালো নম্বর পাওয়ার পর ওই মেয়ের বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু অভাবে সেই স্বপ্ন ডুবে গিয়েছিল। তবে আর্টস নিয়ে পড়েও এবারের উচ্চমাধ্যমিকে অভাবনীয় ফল করেছে মান্তু। তারঁ দিদি বর্তমানে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়াশুনা করছেন। বেশিরভাগ মেয়েদের মতই মান্তুও ভবিষ্যতে নার্স হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। তবে অভাব যেখানে নিত্যসঙ্গী, সেখানে মেয়ের ইচ্ছে পূরন করার সামর্থ্য হবে কি না? ভেবে পাচ্ছেন না মা-বাবা। সরকারি বা বেসরকারি ভাবে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।