রাজগঞ্জ: স্কুল পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় দল আসছে শুনে হইহই পড়ে গিয়েছিল ব্লকজুড়ে। স্কুলগুলিতেও রইরই কাণ্ড! হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক; তড়িঘড়ি রান্না বান্নার কাজে যুক্ত থাকা মহিলাদের জন্য বিশেষ পোশাকের ব্যবস্থা। কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা সেই ছবি তুলে নিয়ে চলে যেতেই আবার যেই কে সেই! কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শনের পরদিনই স্কুলের রান্নাঘরে ফিরে এল সেই আগের ছবি। স্কুলের মাঠে আবারও ঝালমুড়ি-চাটের দোকান খুলে বসলেন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার দুপুরে রাজগঞ্জের দুটি স্কুলে মিডডে মিলের রান্না কেমন হচ্ছে? তা দেখতে ঢুকেছিলেন কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা। তাদের আসার আগেই অবশ্য পালটে গিয়েছিল পুরো ছবি। কুলের মাঠে যাতে কোনও চাটের দোকান না ঢোকে তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। রান্নাঘরে যেখানে কোনওকালেই ফায়ার এক্সটিঙ্গুউসার ছিলনা, সেখানে সেটাও লাগানো হয়েছিল। রান্নার কাজের সঙ্গে যুক্ত মহিলারা অ্যাপ্রন, মাস্ক, গ্লাভস পড়লেন। কেন্দ্রীয় দল এলেন, ঘুরে ঘুরে সব দেখলেন। তবে তাদের পরিদর্শনের পরদিনই আবার আগের ছবি ফিরে এল স্কুল চত্বরে।
বৃহস্পতিবার ওই স্কুলগুলিতে গিয়েছিলেন সাংবাদিকেরা। রাজগঞ্জের সন্ন্যাসিকাটা বালাবাড়ি বিএফপি স্কুলে দেখা গেল মহিলারা মাস্ক বা গ্লাভস কিছুই ব্যবহার করছেন না। অন্য স্কুল, বন্ধুনগর হাইস্কুলে গতকাল কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। সেখানে গতকাল কোনও দোকান ছিল না। আজ আবার সেই আগের মতই স্কুল মাঠে তাদের উপস্থিতি ধরা পড়ল। এইব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় দল যাতে কোনও ভুল ধরতে না পারে, সেই ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। বালাবাড়ি বিএফপি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রবিউল করিম বলনে, মহিলারা সবসময়ই মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহার করেন। হয়ত গরম লেগেছে, তাই পরেনি।