জলপাইগুড়িতে গজলডোবা মেগা পর্যটন হাব পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেখানে পৌঁছান তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলো তথা গজলডোবা মেগা পর্যটন হাবের কাজের অগ্রগতি দেখতে এলেন মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজগঞ্জ ব্লকের বিধায়ক খগেশ্বর রায়।
মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, ভোরের আলোয় তিস্তা নদী বাঁধ সহ কয়েকটি দপ্তরের কাজ হয়েছে। সেচ দপ্তরের তরফে একটি পাম্প হাউজ নির্মিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। গোটা বিষয় নিয়ে সেচ দপ্তর, বনদপ্তর ও পর্যটন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হল।
শুক্রবার উত্তরকন্যায় আসেন তিনি। সেখানেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক সারেন। পরদিন সকাল সকাল গজলডোবা ভোরের আলো পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। গজলডোবায় টুরিস্টদের জন্য বানানো কটেজগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে লোকজনের আসা-যাওয়া বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
ক্ষমতায় ফেরার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে এই বিষয়ে সাহায্য করতে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন মোথাবাড়ি বিধানসভার বিধায়িকা সাবিনা ইয়াসমিনকে। সেচ ও জল পরিবহণের দায়িত্বও রয়েছে তাঁর ঘাড়ে।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলোর কাজকর্মের অগ্রগতি জানতেই তিনি এদিন ঝটিকা সফরে আসেন। শনিবার সকালে ভোরের আলো পরিদর্শন করে তিনি হাওয়া মহলে কিছুক্ষন ছিলেন। এরপর শিলিগুড়ি মিউনিসিপালিটি কর্পোরেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।