বুধবার বিধানসভায় রাজ্যের বাজেট পেশ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি, রাস্তার উন্নয়ন-সহ একাধিক বড় ঘোষণা রাজ্যের। এই বাজেট ‘কর্মসংস্থানমুখী’ বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক চলতি অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেটে বাংলার মানুষের হাতে এল কী কী?
রাজ্য সরকারের বেতনভোগী এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীদের ৩ শতাংশ হারে ডিএ বাড়ানো হল। মার্চ থেকেই মিলবে বর্ধিত মহার্ঘ্যভাতা।
রাজ্যের যাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন, তাদের বয়স ৬০ পেরলেই সরাসরি বার্ধক্যভাতা পাবেন। সংখ্যাটা ১.৮৮ কোটি।
বিধায়কদের এলাকা উন্নয়নের খাতে বাৎসরিক ৬০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ লক্ষ টাকা করা হল।
রাস্তাশ্রী প্রকল্পে গ্রামের প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা। সারাই করা হবে পুরনো রাস্তাও। এরজন্য ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হল।
চা বাগানে কৃষি আয়কর মুকুব করা হবে। সরকারি নথিভুক্ত মৎস্যজীবীর মৃত্যু হলে দুলক্ষ টাকা এককালীন সহায়তা দেওয়া হবে।
ডেউচা-পাঁচামিতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা লগ্নি ঘোষণা। লক্ষাধিক যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের ঘোষণা। ২ লক্ষ যুবক-যুবতীর আর্থিক সহায়তা বাবদ সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকার ঋণের ঘোষণা।
স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় ৬ মাস বৃদ্ধির ঘোষণা। বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটির ২ শতাংশ এবং জমি-বাড়ির বাজারমূল্যের সার্কল রেটের ১০ শতাংশ ছাড়ের মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়ানো হল।
রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৪১ শতাংশ করার ঘোষণা।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই বাজেট সাধারণ মানুষের জন্য। যদিও রাজ্যের বাজেট নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।