টানেলে আটকে ৪১টি মানুষ, বাইরে অপেক্ষা করছে ৪১টি অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালে তৈরি ৪১টি বেড। তবে দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখনও উদ্ধার করা গেল না শ্রমিকদের। বারবার থমকে যাচ্ছে উদ্ধারকাজ। এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে ভেতরে আটকে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছেন আটকে পড়া মানুষগুলি।
গত ১২ নভেম্বর উত্তরকাশীতে একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের কাজ চলাকালীন টানেলের প্রবেশ পথ ধসে আটকে পড়ে। সুড়ঙ্গের ভিতরেই প্রায় ৬০০ মিটার ধ্বংসস্তূপের পিছনে আটকে পড়েছেন শ্রমিকেরা। ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে খুঁড়ে সেই দূরত্ব কমানোর চেষ্টা চলছে। তবে আশার থেকে বেশি সময় লাগছে। বারবার উদ্ধারকাজ থমকে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে আটকে পড়া শ্রমিকদের থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বেই থমকে গিয়েছে খোঁড়ার কাজ। যে যন্ত্র দিয়ে সুড়ঙ্গের মাটি কাটা হচ্ছিল তাতে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়ায় কাজ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। পাশাপাশি, যে কাঠামোর ওপর দাঁড় করিয়ে যন্ত্রটিকে চালানো হচ্ছিল তাতেও ফাটল দেখা দিয়েছে।
উত্তরকাশীতে আটক শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে নজর রাখতে সুড়ঙ্গের কাছেই তৈরি করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অস্থায়ী দপ্তর। সেখানেই সারা রাত থাকবেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। বলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার মধ্যে শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বের করে আনা হবে। কিন্তু তা করা যায়নি। রাতে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়তে খুঁড়তে আচমকা সামনে চলে আসে লোহার রড। খননযন্ত্র দিয়ে তা সরানো যায়নি। ফলে উদ্ধারকাজ বাধা পায়। বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছিল, অবশেষে লোহার রডটি কেটে সরানো গেছে। আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে উদ্ধারকারীদের দূরত্ব আর মাত্র ছয় মিটার। ফলে এবার দ্রুত কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী সকলে। কিন্তু তার পরেই ফের প্রযুক্তিগত সমস্যা।
সুড়ঙ্গের বাইরে উদ্ধারের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বুধবার রাত থেকেই সেখানে অপেক্ষা করছে ২০টি অ্যাম্বুল্যান্স। সুড়ঙ্গ থেকে বের করার পর প্রয়োজন হলে শ্রমিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। ঘটনাস্থলেও অস্থায়ী স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে তৈরি আছে ৪১টি ‘বেড’। যে কোনো রকম জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত উদ্ধারকারীরা।